Header Ads

Header ADS

একটি বাসর রাতের গল্প

একটি মেয়ের বাসর রাতের গল্প- বিয়ের প্রথম রাত মানে বাসর রাত ব্যাপার টার প্রতি আমার অনেকদিন এর ইন্টারেস্ট।নতুন বিয়ে করা স্বামী স্ত্রী জিবনে প্রথম বারের মতো একই ঘরে একসাথে থাকে, কিভাবে প্রথম কথা বলা শুরু করে কিভাবে কি হয় এইসব জানতে আমার প্রচুর আগ্রহ।
কেন এই রাতটাকে স্বামী স্ত্রীর জীবনের শ্রেষ্ঠ রাত বলা হয় আমাকে জানতেই হবে। ফ্রেন্ড দেরকে জিজ্ঞেস করলাম এই রাতে আসলে কি হয়? তারা বললো “আমরা কি জানি? আমাদের কি বিয়ে হইছে?
” একে একে খালাত মামাতো বোনদেরকে, ভাবী, দাদু শেষ পর্যন্ত লাজ লজ্জা ভুলে আম্মুকে বেষ্ট ফ্রেন্ড ও জিজ্ঞেস করলাম। কেউই আমাকে সঠিক ভাবে বলেনি যে স্বামী স্ত্রী প্রথম কথা বলা শুরু করে কিভাবে? সবাই সারাংশ টা বলে শুধু।
কি আর করা নিজের বাসর রাতের অপেক্ষা করতে হলো। চিন্তা করেছি নিজের বাসর রাতের কথা কাউকে বলব না, আমি যখন কারো টা জানতে পারিনাই তখন আমার টা কেন জানাবো?
পরে আবার মনে হলো আসলে শেয়ার করা উচিৎ, হয়তোবা আমার মতো অনেকেই আছে যারা এই বিষয় টা জানতে চায়। জানতে চায় হোয়াই বাসর রাত ইজ দ্যা সর্বশ্রেষ্ঠ রাত ফর হাজব্যান্ড ওয়াইফ??
লজ্জা লাগছে.. তবুও বলেই ফেলি। এরেঞ্জ মেরিজ হয়েছিলো আমাদের। বিয়ে ঠিক হওয়ার পর হালকা পাতলা কথা বলতাম হবু বর এর সাথে। এই কেমন আছি, কি করছি এইসব।
বিয়ের রাতে প্রায় এগারোটার সময় আমাকে বাসর ঘরে নেয়া হয়। তখন আমার পরনে ছিলো সোনালী পাড়ের লালচে খয়েরী শাড়ী,বিয়ের লাল বেনারসি টা খুলে এটা পরানো হইছে ।
গলায় ছোট একটা হার, কানে দুল, হাতে খয়েরী কাচের চূড়ি আর আমার শাশুড়ির দেয়া একজোড়া সোনার বালা। সাজুগুজু বলতে চোখে কাজল, আর ঠোঁটে হালকা খয়েরী লিপস্টিক।
আমি বিছানায় বসে আছি, আর আমার স্বামী বাইরে। আমার ননদ,দেবর, খালাতো, মামাতো দেবররা আর ওর বন্ধুরা ওকে ভেতরে আসতে দিচ্ছিলোনা। আমার ইচ্ছা করছিলো ওদের সাথে আন্দোলনে যোগ দিয়ে জোর গলায় বলি দাবিকৃত টাকা না দিলে ভেতরে আসা নিষিদ্ধ। কিন্তু আমি নিজের মনকে শক্ত করে বিছানায় বসে ছিলাম।
একটু পরে সে ভেতরে আসলো। সবাই রুম থেকে চলে যাওয়ার পর আমার ভাবী রুমে এসে ওকে বাইরে যেতে বললো। কানে কানে আমাকে অনেক কিছুই শিখিয়ে দিয়ে চলে গেলেন। তারপর তিনি এসে দরজা বন্ধ করলেন।
বাতি নিবিয়ে নীল রং ড্রিম লাইট জালালেন। একটু আগেও আমার লজ্জা লাগছিলো না, কিন্তু ভাবী বলছে লজ্জা না লাগলেও চেহারায় জোর করে হলেও লজ্জা লজ্জাভাব রাখতে অথচ উনি আসার সাথে সাথেই আপনা আপনি আমি লজ্জা পাচ্ছিলাম।
আমার মনে হচ্ছিলো উনি আমার ঘোমটা উঠাতে চাচ্ছিলেন, যদিও আমার ঘোমটা উঠানোর মতো অত বড় ছিলো না, তবুও আমি বড় করে ঘোমটা টেনে দিলাম। আমি টিভিতে দেখেছি এই সিনটা অনেক ইন্টারেস্টিং। তারপর তিনি আমার কাছে আসলেন, আমার বুক ধুকপুক শুরু করে দিলো। পেছনে সরে যেতে ইচ্ছে করছিলো কিন্তু
পারছিলাম না মনে হচ্ছে কিছু একটা আমাকে সেখানে আটকে রেখেছ। আস্তে আস্তে ঘোমটা উঠালেন,আমার লজ্জা লাগছিলো তাই নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। উনি বললেন, খুব সুন্দর লাগছে। মাশাল্লাহ বলেন (হঠাৎ করেই সব লজ্জা দূর হয়ে গেল) মাশাল্লাহ,আসলেই সুন্দর তুমি জি ধন্যবাদ, আসলে মেকাপ করছি তো তাই।
শুনুন ভাবী বলছে আমাকে আর আপনাকে নামায পরতে? এখন, আমার আঁচলের উপর বসে আপনাকে নামায পরতে হবে। জানতাম না তো কিছু না জেনেই বাসর ঘরে চলে আসছেন? এটা নিয়ম, মানতে হয়। এরপর আমরা নামায পড়লাম।
আমাকে প্রতিবার ব্যবহার করার আগে নামাজ পড়াতো।

1 টি মন্তব্য:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.